ধর্ম ডেস্ক: আল্লাহ যাদের সামর্থ দিয়েছেন এবং কবুল করেছেন, তারাই পবিত্র হজ সম্পাদন করেছেন। হজ শেষে এবার আল্লাহর মেহমান হাজিদের বাড়ি ফেরার পালা। বাড়ি ফেরার আগে মক্কায় হাজিদের মূল কাজ কী?
হজ সম্পাদন শেষে হাজিরা মহান আল্লাহর নির্দেশ মেনে বাকি জীবন অতিবাহিত করবেন। জীবন পরিচালনায় সব কাজই করা যাবে তবে যেসব কাজ ইসলামি শরিয়তের কোনো অনুমোদন নেই; শুধু সে কাজগুলো করা যাবে না। ইসলামি শরিয়তের বিধিবিধান মেনে সব কাজই করা যাবে।
মক্কা ত্যাগের আগে মূল কাজ
হজের কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর মক্কা থেকে নিজ নিজ দেশে রওয়ানা হওয়ার আগে অবশ্যই তাওয়াফে বিদা বা বিদায়ী তাওয়াফ করতে হবে। যা পালন করা ওয়াজিব বা আবশ্যক।
মক্কায় অবস্থানকালীন সময়ে করণীয়
হাজিগণ হজ পালনের পর বাড়ি ফেরার আগে যতদিন পবিত্র নগরী মক্কায় অবস্থান করবেন ততদিন তারা এ কাজগুলো করবেন-
১. বেশি বেশি জিকির–আজকার করা।
২. নফল নামাজ আদায় করা।
৩. বেশি বেশি বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করা।
সর্বোপরি মসজিদে হারামে সব সময় আমলে সালেহ তথা ভালো কাজ বেশি বেশি করা। কেননা মসজিদে হারামে ভাল কাজের সওয়াব অনেকগুণ বেশি।
কোনোভাবেই অন্যায় ও খারাপ করা যাবে না। এতে থেকে সাবধান থাকা জরুরি। কারণ ভালো কাজের প্রতিদান যেমন বেশি, তেমনি যদি মসজিদে হারামের সীমানায় কেউ অন্যায় কাজ করে তবে তার পরিণতিও অত্যন্ত গুরুতর হয়ে থাকে।
বাইতুল্লায় অবস্থান কালে প্রত্যেক হাজিকে নেক আমলের সঙ্গে সঙ্গে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি বেশি বেশি দরূদ ও সালাম পেশ করাও সর্বোত্তম কাজ।
হজ পালনকারীগণ যখন পবিত্র নগরী মক্কা ত্যাগ করবেন তখন অবশ্যই পবিত্র কাবা শরিফে বিদায়ী তাওয়াফ সম্পন্ন করবেন। তবে ঋতুবর্তী ও নেফাসওয়ালী নারীদের জন্য তা প্রযোজ্য নয়। হাদিসে এসেছে-
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন ‘লোকদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাদের শেষ সময়টি যেন সমাপন হয় বায়তুল্লাহে কিন্তু হায়েজা ঋতুবতী নারীদেরকে এ বিষয়ে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সেসব হাজিদেরকে বেশি বেশি আমলে সালেহ করার তাওফিক দান করুন, যারা হজ পরবর্তী সময়ে পবিত্র নগরী মক্কায় অবস্থান করছেন। অতঃপর দেশে ফিরে আসার আগে প্রত্যেককে বিদায়ী তাওয়াফ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।